ফজলুল্লাহ যেমন জানেন, আমরাও জানি, মানুষের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে পানির উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্প হাতে নিতে হবে। পয়োনিষ্কাশনের প্রকল্প বাস্তবায়নও ওয়াসারই কাজ। এসব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একইভাবে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কর্মকাল অতিবাহিত হলে অন্য একজন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন, এটাও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু আটবার একজনের মেয়াদ বাড়ানো হলে, বিশেষত তিনি যদি ৮১ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি হন, তাহলে পুরো প্রক্রিয়াটিকে অস্বাভাবিক মনে হতে বাধ্য। আগেই বলেছি, তাঁর সৌভাগ্যের জাদুমন্ত্রটি আমাদের অজানা। এমনকি রাজনীতি বা দলীয় সম্পৃক্তির অভিযোগও ওঠেনি তাঁর বিরুদ্ধে।
২০০০ সালে অবসরে যাওয়া মানুষটিকে আট বছর পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেন চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হলো, এ রহস্যের অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, লাহোরে পড়াশোনা করার সময় একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের দুই বছরের জুনিয়র ছিলেন তিনি। ধারণা করি, তখন থেকে দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল।
পরবর্তীকালে দল ক্ষমতায় এলে হয়তো মোশাররফ হোসেনের এই করিতকর্মা ব্যক্তিটির কথা মনে পড়ে বা তিনি নিজে এসেও পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে মন্ত্রীর কাছে দেনদরবার করেন। এতে তাঁর অবসর থেকে ফিরে আসার পথ সুগম হয়। এসবই অনুমানের কথা।
তবে সেই পুরোনো সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় ফজলুল্লাহ সাহেব এখনো টিকে আছেন, এ কথা মনে করার তেমন ভিত্তি নেই। বরং সনাক-টিআইবির চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি যে বললেন, এ কে এম ফজলুল্লাহকে যাঁরা নিয়োগ দেন, তাঁদের সন্তুষ্ট রাখার কাজে তিনি পারদর্শী। বোর্ডের সদস্যদেরও তিনি সন্তুষ্ট রাখতে পারেন। এ কারণে পানির সংকট দূর করতে না পারলেও পুনর্নিয়োগে কোনো অসুবিধা হয় না, এ কথাকেই সত্য বলে মনে হয়।