আমাদের দেশে সাধারণত রাজনৈতিক পরিচয় ও দলীয় আনুগত্যের হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতে সরকারি সংস্থায় পদ-পদবি বাগানোর বা পদে বহাল থাকার রেওয়াজ আছে।
কিন্তু এ কে এম ফজলুল্লাহর সে রকম কোনো রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড যেমন খুঁজে পাওয়া যায় না, তেমনি অত্যুৎসাহী হয়ে সরকারদলীয় সভা-সমাবেশে যোগ দিয়ে স্তুতি-বন্দনা করার ইতিহাসও নেই। তা সত্ত্বেও একবার-দুবার তো নয়, সাত দফায় ১৪ বছর একই পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এবার আরও ৩ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে তাঁর কর্মজীবনের মেয়াদ। তাহলে তাঁর সৌভাগ্যের জাদুমন্ত্রটি কী?
শুধুই দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা? পরিসংখ্যান তো সে রকম বলে না। পাঁচ বছর আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, দুই বছরের মধ্যে (অর্থাৎ ২০২০ সালে) চট্টগ্রামবাসী ২৪ ঘণ্টা নিরাপদ পানি পাবেন। সেই সময়সীমা পেরিয়েছে তিন বছর আগে। ২৪ ঘণ্টা তো দূরে থাক, দিনে দু-চার ঘণ্টা পানিও পাওয়া যায় না, এমন এলাকা চট্টগ্রামে বরং বেড়েছে। আর ‘নিরাপদ’ ব্যাপারটা তো প্রমাণসাপেক্ষ। তবে এটুকু বলা যায়, লবণাক্ত পানি পান ও ব্যবহার করা এ অঞ্চলের মানুষ প্রায় নিয়তি নির্ধারিত হিসেবে মেনে নিয়েছেন।